ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সারাদিন শয়তান থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া

দেশ পত্র
  • আপডেট সময় : ০৪:১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

শয়তান মানবজাতির সবচেয়ে বড় শত্রু। সে মানুষকে ধোঁকা দেয় এবং মন্দ কাজে প্রলুব্ধ করে, যার মাধ্যমে মানুষ কুফর ও শিরকের পথে চলে যায় এবং শেষ পর্যন্ত তাকে চিরকালীন দুঃখ ও অশান্তির স্থান, জাহান্নামে পৌঁছায়।

কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে মুমিনরা, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কোরো না।” (সূরা নুর, আয়াত : ২১)

শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকতে আল্লাহর সাহায্য কামনা করা উচিত এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত। হাদিসে বর্ণিত একটি দোয়া হলো—

لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

উচ্চারণ: “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-লারিকালাহু, লা-হুল-মুলকু, ওয়ালাহুল-হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদ্বির।”

অর্থ: আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব একমাত্র তাঁরই জন্য। তাঁরই জন্য সকল প্রশংসা। সকল বিষয়ের উপর তিনি ক্ষমতাবান।

এই দোয়ার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে: “যে ব্যক্তি সকালে নামাজের পর এই দোয়াটি পাঠ করবে, তার জন্য একটি গোলাম আজাদ করার সওয়াব হবে, দশটি নেকী লেখা হবে, দশটি গুনাহ মাফ হবে এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি হবে। এটি সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে রক্ষামূলক ব্যবস্থা হবে। যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলা দোয়াটি পাঠ করবে, সকাল পর্যন্ত সে অনুরূপ সওয়াব পাবে।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৭৭)

আরেকটি দোয়া হলো—

أَعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

উচ্চারণ: “আউজুবিল্লাহিল আজিম ওয়া বিওয়াঝহিল কারিম ওয়া সুলত্বানিহিল কাদিমি মিনাশ শাইত্বানির রাঝিম।”

অর্থ: “আমি মহান আল্লাহর কাছে; তাঁর মহানুভব চেহারার কাছে; তাঁর অনাদি-অনন্ত কর্তৃত্বের কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই।”

নিউজটি শেয়ার করুন

সারাদিন শয়তান থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া

আপডেট সময় : ০৪:১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

শয়তান মানবজাতির সবচেয়ে বড় শত্রু। সে মানুষকে ধোঁকা দেয় এবং মন্দ কাজে প্রলুব্ধ করে, যার মাধ্যমে মানুষ কুফর ও শিরকের পথে চলে যায় এবং শেষ পর্যন্ত তাকে চিরকালীন দুঃখ ও অশান্তির স্থান, জাহান্নামে পৌঁছায়।

কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে মুমিনরা, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কোরো না।” (সূরা নুর, আয়াত : ২১)

শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকতে আল্লাহর সাহায্য কামনা করা উচিত এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত। হাদিসে বর্ণিত একটি দোয়া হলো—

لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

উচ্চারণ: “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-লারিকালাহু, লা-হুল-মুলকু, ওয়ালাহুল-হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদ্বির।”

অর্থ: আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব একমাত্র তাঁরই জন্য। তাঁরই জন্য সকল প্রশংসা। সকল বিষয়ের উপর তিনি ক্ষমতাবান।

এই দোয়ার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে: “যে ব্যক্তি সকালে নামাজের পর এই দোয়াটি পাঠ করবে, তার জন্য একটি গোলাম আজাদ করার সওয়াব হবে, দশটি নেকী লেখা হবে, দশটি গুনাহ মাফ হবে এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি হবে। এটি সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে রক্ষামূলক ব্যবস্থা হবে। যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলা দোয়াটি পাঠ করবে, সকাল পর্যন্ত সে অনুরূপ সওয়াব পাবে।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৭৭)

আরেকটি দোয়া হলো—

أَعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

উচ্চারণ: “আউজুবিল্লাহিল আজিম ওয়া বিওয়াঝহিল কারিম ওয়া সুলত্বানিহিল কাদিমি মিনাশ শাইত্বানির রাঝিম।”

অর্থ: “আমি মহান আল্লাহর কাছে; তাঁর মহানুভব চেহারার কাছে; তাঁর অনাদি-অনন্ত কর্তৃত্বের কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই।”