ঢাকা ০৮:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড. সামিনা লুৎফাকে অধ্যাপক পদে উন্নীত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

দেশ পত্র
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৬:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ২৭ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফাকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে অধ্যাপক পদে উন্নীত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ড. সামিনা লুৎফার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।

তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে একটি অধ্যাপক পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে, ড. সামিনা লুৎফা বিজ্ঞপ্তির শর্ত মেনে আবেদন করেন। তবে আবেদন করার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে কোনো সহযোগিতা করেনি। প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহেও তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়।”

ব্যারিস্টার বড়ুয়া আরও জানান, “বিভাগীয় সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি (কো-অর্ডিনেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটি) থেকে তাকে জানানো হয়েছিল যে, অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য তার সব যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক মতাদর্শ ও বিভিন্ন অ্যাক্টিভিজমের কারণে তাকে বাদ দেওয়া হয়।”

তিনি অভিযোগ করেন, “সিলেকশন বোর্ড তার বদলে সেই প্রার্থীকে অধ্যাপক পদে সুপারিশ করে, যিনি ড. সামিনা লুৎফার আট বছর পর ওই বিভাগে যোগ দেন। এরপর ড. সামিনা লুৎফা লিগ্যাল নোটিশ পাঠান, আপিল করেন এবং শেষ পর্যন্ত কোনো প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।”

হাইকোর্ট তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির এই আদেশ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ড. সামিনা লুৎফাকে অধ্যাপক পদে উন্নীত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

আপডেট সময় : ০৩:৫৬:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফাকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে অধ্যাপক পদে উন্নীত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ড. সামিনা লুৎফার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।

তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে একটি অধ্যাপক পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে, ড. সামিনা লুৎফা বিজ্ঞপ্তির শর্ত মেনে আবেদন করেন। তবে আবেদন করার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে কোনো সহযোগিতা করেনি। প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহেও তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়।”

ব্যারিস্টার বড়ুয়া আরও জানান, “বিভাগীয় সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি (কো-অর্ডিনেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটি) থেকে তাকে জানানো হয়েছিল যে, অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য তার সব যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক মতাদর্শ ও বিভিন্ন অ্যাক্টিভিজমের কারণে তাকে বাদ দেওয়া হয়।”

তিনি অভিযোগ করেন, “সিলেকশন বোর্ড তার বদলে সেই প্রার্থীকে অধ্যাপক পদে সুপারিশ করে, যিনি ড. সামিনা লুৎফার আট বছর পর ওই বিভাগে যোগ দেন। এরপর ড. সামিনা লুৎফা লিগ্যাল নোটিশ পাঠান, আপিল করেন এবং শেষ পর্যন্ত কোনো প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।”

হাইকোর্ট তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির এই আদেশ দেন।