ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঐতিহ্যের ধারায় ৪০০ বছরের পুরোনো সানোড়া মেলা

দেশ পত্র
  • আপডেট সময় : ০৪:১৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে

সানোড়ার মেলা! এটি শুধু একটি মেলা নয়, এক ধরনের জীবন্ত ইতিহাস, যেন কালের গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া একটি কাব্য। ধামরাইয়ের সানোড়া ইউনিয়নের বটতলা আজও এক রঙিন স্বপ্নের রূপে জেগে ওঠে, যা পৌষ সংক্রান্তির ঐতিহ্য এবং মেলার আনন্দে পূর্ণ। প্রাচীন মকর সংক্রান্তির এই আয়োজন বহু বছর ধরে বাঙালির ঐতিহ্যের সুর ধরে রেখেছে। এ দিনটি শুধু কেনাকাটার জন্য নয়, বরং মাটির গন্ধ মাখা ঐতিহ্যকে অনুভব করতে বের হয় হাজার হাজার মানুষ।

প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তির দিন সকাল বেলা সূর্য ওঠার সাথে সাথে মেলার প্রস্তুতি শুরু হয়। বটতলার বিশাল বটগাছগুলোর ছায়ায় মেলা জমে ওঠে। মেলার মূল আকর্ষণ হলো গ্রামীণ হস্তশিল্পের পসরা। কামার-কুমারদের তৈরি দা, বটি, মাটির পাত্র, বাঁশ-বেতের সামগ্রীসহ আরো অনেক কিছু পাওয়া যায় এখানে। এছাড়া খই, বিন্নি, বাতাসা, চিনির খেলনা, ভাজা পেঁয়াজু, চানাচুর, বাদামসহ নানা ধরনের পিঠা-পুলির স্টল মেলায় ভোজনরসিকদের মনোরঞ্জন করে।

বটতলার এই মেলা এক দিনের হলেও, তার প্রস্তুতি চলে সপ্তাহজুড়ে। সকালবেলা প্রথম আলো ফোটার আগেই আশপাশের গ্রামগুলো থেকে মানুষ আসতে শুরু করে এবং মেলার চত্বর ভরে ওঠে। কেউ আসেন হেঁটে, কেউ ভ্যানগাড়িতে, আবার কেউ সাইকেলে চড়ে মাটির হাঁড়ি নিয়ে আসেন। বটগাছের ছায়ায় শুরু হয় দোকান বসানো, একপাশে মাটির খেলনা, আর অন্যপাশে হরেক রকমের মিষ্টি সাজানো হয়। বাতাসে খাবারের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে, যা শীতের সকালটাকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে। সকাল বেলা অনেকেই মেলার মিষ্টি ও গরম রুটি দিয়ে নাস্তা সেরে নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঐতিহ্যের ধারায় ৪০০ বছরের পুরোনো সানোড়া মেলা

আপডেট সময় : ০৪:১৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

সানোড়ার মেলা! এটি শুধু একটি মেলা নয়, এক ধরনের জীবন্ত ইতিহাস, যেন কালের গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া একটি কাব্য। ধামরাইয়ের সানোড়া ইউনিয়নের বটতলা আজও এক রঙিন স্বপ্নের রূপে জেগে ওঠে, যা পৌষ সংক্রান্তির ঐতিহ্য এবং মেলার আনন্দে পূর্ণ। প্রাচীন মকর সংক্রান্তির এই আয়োজন বহু বছর ধরে বাঙালির ঐতিহ্যের সুর ধরে রেখেছে। এ দিনটি শুধু কেনাকাটার জন্য নয়, বরং মাটির গন্ধ মাখা ঐতিহ্যকে অনুভব করতে বের হয় হাজার হাজার মানুষ।

প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তির দিন সকাল বেলা সূর্য ওঠার সাথে সাথে মেলার প্রস্তুতি শুরু হয়। বটতলার বিশাল বটগাছগুলোর ছায়ায় মেলা জমে ওঠে। মেলার মূল আকর্ষণ হলো গ্রামীণ হস্তশিল্পের পসরা। কামার-কুমারদের তৈরি দা, বটি, মাটির পাত্র, বাঁশ-বেতের সামগ্রীসহ আরো অনেক কিছু পাওয়া যায় এখানে। এছাড়া খই, বিন্নি, বাতাসা, চিনির খেলনা, ভাজা পেঁয়াজু, চানাচুর, বাদামসহ নানা ধরনের পিঠা-পুলির স্টল মেলায় ভোজনরসিকদের মনোরঞ্জন করে।

বটতলার এই মেলা এক দিনের হলেও, তার প্রস্তুতি চলে সপ্তাহজুড়ে। সকালবেলা প্রথম আলো ফোটার আগেই আশপাশের গ্রামগুলো থেকে মানুষ আসতে শুরু করে এবং মেলার চত্বর ভরে ওঠে। কেউ আসেন হেঁটে, কেউ ভ্যানগাড়িতে, আবার কেউ সাইকেলে চড়ে মাটির হাঁড়ি নিয়ে আসেন। বটগাছের ছায়ায় শুরু হয় দোকান বসানো, একপাশে মাটির খেলনা, আর অন্যপাশে হরেক রকমের মিষ্টি সাজানো হয়। বাতাসে খাবারের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে, যা শীতের সকালটাকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে। সকাল বেলা অনেকেই মেলার মিষ্টি ও গরম রুটি দিয়ে নাস্তা সেরে নেন।